শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাকরি হারানোয় ট্রাক চালকসহ দুইজনকে হত্যা

চাকরি হারানোয় ট্রাক চালকসহ দুইজনকে হত্যা

স্বদেশ ডেস্ক:

চাকরি হারানোয় ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর ও তার বন্ধু রাজুকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সাবেক চালক ইব্রাহিম (২৩) ও সহকারী ফজর মিয়া (২৪)। শনিবার তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

এসএমপির মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইব্রাহিম ও ফজর মিয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার আইলদীপুরের আতাউর রহমানের ট্রাকে ইব্রাহিম চালক ও ফজর হেলপার ছিলেন। গত ২১ জানুয়ারি ট্রাকটি ঢাকায় নিয়ে গেলে ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে নতুন চালক হিসেবে জাহাঙ্গীরকে নিযুক্ত করেন গাড়ির মালিক। জাহাঙ্গীরের বন্ধু ছিলেন রাজু। সে পেশায় কম্পিউটার অপারেটর। পরদিন ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুর থেকে ট্রাকে রিকশার যন্ত্রাংশ নিয়ে সিলেটে আসার সময় সাবেক চালক ও রাজুও নতুন চালকের সঙ্গী হন। পথে হবিগঞ্জের মাধবপুর আসার পর জাহাঙ্গীর ও রাজুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

আটকদের বরাত দিয়ে ওসি আখতার হোসেন আরও বলেন, হত্যার আগে তারা চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে নিহতদের কাবু করে ফেলে। আর নিহত চালক জাহাঙ্গীরের বন্ধু রাজুও কিছুটা প্রতিবন্ধী টাইপের ছিলো। জাহাঙ্গীর গাড়ি নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে আসায় বেড়ানোর জন্য বন্ধুর সঙ্গী হয়ে প্রাণ হারায় রাজুও। এরপর গাড়ি চালায় ইব্রাহিম। গাড়িটি মাধরপুরের জগদীশ পুর ও আউশকান্দি, সর্বশেষ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে এনে থামায় তারা। এরপর পরিকল্পনা করে লাশ দু’টি চালক ও হেলপারের সিটে বসিয়ে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচকে রেখে যায়।

শুক্রবার গাড়ি থেকে নিথর দেহ দু’টি উদ্ধার কওে পুলিশ। দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ পরিকল্পিত হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে ট্রাক মালিক আতাউরসহ নিহতদের স্বজনরা মোগলাবাজার থানায় আসেন শনিবার দুপুরে। এ ঘটনায় নিহত রাজুর ভাই সুজন বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পরে শনিবার ভোরে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল থেকে ইব্রাহিমকে আটক করে এসএমপির মোগলাবাজার থানা পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে আম্বরখানা থেকে আটক করা হয় তার সহযোগী ফজর আলীকে। আটক মো. ইব্রাহিম তালুকদার সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার ফউজদার তালুকদারের ছেলে এবং ফজর মিয়া বিশ্বনাথের শ্বাসরাম এলাকার রুস্তুম আলীর ছেলে।

তাদের দেওয়া বর্ণনা মতে পুলিশ ফজরের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহতদের লুন্ঠিত মোবাইল সেট ও ট্রাকের টায়ার বিক্রির পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করে এবং গাড়ির টায়ার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশ পুরের জয়নাল মিয়ার দোকান থেকে জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় টায়ার ক্রেতা ওই উপজেলার বেড়জুড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে জয়নাল মিয়াকেও (২৩) আটক করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877